রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সেই দুই শিক্ষার্থীকে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। পরে তাঁদের ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে তোলে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তা আ ফ ম আল কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আ ফ ম আল কিবরিয়া বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি মামলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার সকালে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটি অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে। পরে এই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁদের ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে তোলা হলে সেখানে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।’
ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, ‘তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইমো ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করত। চক্রের সদস্যরা প্রথমে ইমো ব্যবহারকারী প্রবাসীদের নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে তাঁরা কৌশলে টার্গেট করা প্রবাসীর ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেন। পাসওয়ার্ড পাওয়ার পর তাঁরা সেই আইডি থেকে পাঠানো কথোপকথন ও ম্যাসেজ পর্যবেক্ষণ করেন। একপর্যায়ে হ্যাক করা আইডি ব্যবহার করে স্বজনদের দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার কথা বলে প্রবাসীদের বিকাশে বড় অঙ্কের টাকা পাঠাতে বলেন।’
এর আগে গত রোববার সকালে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানাধীন চকপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মো. রেজোয়ান ইসলাম রিজু ও শাকিব খানকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁরা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রেজোয়ানের বাড়ি যশোরের মণিরামপুরে এবং শাকিবের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়।