বগুড়ার শিবগঞ্জে একটি ‘সাইকেলের জন্য প্রাণ গেল’ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র হুরায়রার। পুলিশ বলছে, তারই পাঁচ সহপাঠী সাইকেলটি ছিনিয়ে নিতে চাইলে সে বাধা দেয়। তখন তারা হুরায়রাকে হত্যা করে।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বজলুর মোড় এলাকার এক বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ শিশুকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানিয়েছেন।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওসি মনজুরুল বলেন, বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পাঁচ শিশুকে আটক করা হয়েছে, যারা সবাই হুরায়রার সহপাঠী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই পাঁচ শিশু বলে, হনুমান দেখার কথা বলে আবু হুরায়রাকে বজলুর মোড় এলাকার বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায় তারা। পরে তার সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে বাবাকে ফোন করে টাকা চাইতে বললে হুরায়রা অস্বীকৃতি জানায়। পরে তাকে তারা শ্বাসরোধে হত্যা করে।
ওসি আরও বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত শিশুর বাবা মনজুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ দুপুরে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে আটক শিশুদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রোববার দুপুরে স্কুলে টিফিনের সময় নাশতা খেতে বের হয় আবু হুরায়রা। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে তার সাইকেল পাওয়া যায় স্থানীয় ডাকুমারা হাটে। আজ ভোরে বজলুর মোড় এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হুরায়রার বাবা মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি একজন মুদিদোকানি। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই আমার। আমার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। অভিযুক্ত পাঁচ শিশু আমার ছেলের সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করেছে। সাইকেলটি মাত্র ২ হাজার ৭০০ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করেছিল বলে জানতে পারি। পরে ডাকুমারা হাটের ভুট্টো নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে আমরা সাইকেলটি হাতে পাই।’