তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির শেষে দিনে বগুড়া মহাসড়কে বিক্ষিপ্তভাবে যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ভূমিকার কারণে দুপুরের পর মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মহাসড়কে যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ১২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে বগুড়া শহরতলীর তেলীপুকুর এলাকায় যুবদলের নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ পৌঁছে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় যুবদলের নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা জবাব দিলেও ১০ মিনিটের মধ্যে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরতলীর বারপুর এলাকায় একটি খালি ট্রাকে আগুন দেন পিকেটাররা। পরে পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির আরও সাত নেতা-কর্মীকে আটক করে।
এদিকে গত দুই দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা ছিল বেশি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকা তিন প্লাটুন বিজিবি সদস্য মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করেন।
বিজিবি সদস্যরা জানান, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া জেলার ৬৮ কিলোমিটারে গত তিন দিনে প্রায় তিন হাজার যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করেছে বিজিবি।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।