রাজশাহীর দুর্গাপুরে ছেলের মারপিটের শিকার হয়ে বিচারের দাবিতে থানায় হাজির হলেন মা আংগুরা বেগম (৫০)। অজ সোমবার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। পরে বেলা ১২টার দিকে আংগুরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছেলের বিচার চেয়ে দুর্গাপুর থানায় হাজির হন মা।
আংগুরা বেগম বলেন, ‘মানুষের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করি। একমাত্র ছেলে সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে আলাদা থাকি। মাঝেমধ্যে পারিবারিক কোনো ঘটনা ঘটলে ছেলে ও তাঁর স্ত্রী রুমি খাতুন আমাকে মারধর করেন। এসব নিয়ে এর আগেও থানা ও গ্রামে একাধিক বার বিচার সালিস হয়েছে। তারপরও আমার ওপর তাদের নির্যাতন কমেনি।’
আংগুরা বেগম আরও বলেন, ‘আজ ছেলের বউ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে আমাকে মারধর করেন। পরে সাইদুল বাড়িতে এসে বউয়ের পক্ষ নিয়ে দুজন মিলে আমাকে মারধর করে। ছেলে রান্না ঘরে থাকা বটি দিয়েও আমাকে কোপ দেয়।’
এ বিষয়ে আংগুরার ছেলে সাইদুল ইসলাম মাকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী ও মা তুমুল ঝগড়া করছেন। পরে তাদের ঠেলা (ধাক্কা) দিয়ে দূরে সরিয়ে দিই। এতে আমার মা একটু আঘাত পান।’
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। মা ও ছেলেকে থানায় ডাকা হয়েছিল। আংগুরা ছেলে সাইদুল বিদেশ ফেরত। টাকা পয়সা ও জমিজমা নিয়ে তাদের পারিবারিক কোন্দল চলছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তাদের পারিবারিক কোন্দল মিটানো হবে।