খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল হতদরিদ্র মানুষের কাছে বিক্রি না করে তা আত্মসাতের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁর রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের তালতলা অঞ্চলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার মামলাটি করেন চাল তদারকি কর্মকর্তা রায়গঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারী সঞ্জিত কুমার রায়। ওই ডিলারের নাম আবুল হাসেম।
হতদরিদ্র ভুক্তভোগী চান বিবি ও রমজান আলীসহ অর্ধশতাধিক কার্ডধারীর অভিযোগ, সরকার দুই মাসের দুই বস্তা চাল একসঙ্গে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু ডিলার আবুল হাশেম তাঁদের এক বস্তা করে চাল দিয়ে পরে দেখা করতে বলেন। চাল দেওয়ার সময় দুই কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। পরে তাঁর দেওয়া তারিখ অনুযায়ী চাল নিতে গেলে ৫০০ টাকা দিয়ে বলেন, ‘চাল শেষ, টাকা নিয়ে বাড়ি যাও।’
মামলার বাদী ও চাল তদারকি কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার উপস্থিতিতে ৪৯৬ জন কার্ডধারীর কাছে দুই মাসের ৩০ কেজি ওজনের দুই বস্তা করে চাল বিক্রি করার কথা। কিন্তু ডিলার আবুল হাসেম আমার উপস্থিতিতে এক বস্তা করে চাল দিলেও মাস্টাররোলের দুই জায়গায় টিপসই ও স্বাক্ষর নেয়। পরে তাঁদের রোববার দেখা করতে বললে ৫০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। গতকাল ডিলার আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডিলার আবুল হাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার পরিচিত কিছু কার্ডধারী এক বস্তা করে চাল নিয়ে আরেক বস্তা বিক্রি করেছিল। কিন্তু এটা নিয়ে এত ঝামেলা হবে তা আমি বুঝতে পারিনি।’
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধুবিল ইউনিয়নের তালতলা অঞ্চলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি ও আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য ডিলার আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।’