বগুড়া শহরের একটি ওষুধ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৩৮টি গুদাম ও মার্কেটের লিফট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি এ তথ্য জানায়।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে শহরের সাতমাথার মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ছয়তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি জানায়, মার্কেটের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা ওষুধের দোকান। আর ষষ্ঠ তলায় ওষুধের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করতেন ব্যবসায়ীরা। এখানে মোট ৪০ দোকানঘরের প্রতিটি গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এর মধ্যে সাইদুর রহমানের অভি মেডিসিন সবচেয়ে বড় গোডাউন। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ষষ্ঠ তলার অন্য গুদামগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে অভি মেডিসিনের পাশে থাকা পলক মেডিসিন, হিরা ফার্মেসি, রফিক মেডিকেল, এসএম ফার্মেসি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, সম্ভবত সিগারেটের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু আগুনের কারণে ছয়তলায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের এসে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুনের ভয়াবহতা কম ছিল। তবে ধোঁয়ার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। এ ছাড়া মার্কেটে সিঁড়ি রয়েছে একটি। ফলে চলাচলেও সমস্যা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে ধোঁয়া বের করে দেওয়া হয়। মূলত এ কাজে সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে।
মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ৩৮টি গুদামে ওষুধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া মার্কেটের লিফট নষ্ট হয়ে গেছে। আরও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে। প্রতিটি গুদামে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ওষুধ আছে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, ‘প্রায় দুই-আড়াই ঘণ্টা কাজের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন থেকে ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি ছিল। এ জন্য সময় লেগেছে বেশি। পুরো ভবনটি আমরা ঘুরে দেখেছি এখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল। সিঁড়ি একটা ছিল। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত সাপেক্ষে বলা হবে।’