সরকার পতনে বিএনপির এক দফার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাতভর নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। এসব অভিযান নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে হরতাল ঘোষণা পর নাশকতার অভিযোগে ও বিস্ফোরক আইনে বিভিন্ন থানায় করা পুরোনো মামলাগুলোতে অন্তত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক এস এম জাকারিয়া বলেন, ‘পুরোনো বিস্ফোরক আইন ও নাশকতার অভিযোগে থাকা মামলাগুলোর ফলোআপ নিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া নাচোল ও গোমস্তাপুর থানায় গত রাতে ককটেল ও বিস্ফোরকদ্রব্য জব্দ করেছে। এসব অভিযানে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ১০, গোমস্তাপুরে ১২, শিবগঞ্জে ৪, নাচোলে ৮ ও ভোলাহাট থানায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বিএনপির এক দফার আন্দোলন দমন করার জন্যই রাতভর নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘বিরোধীমত দমনে সরকার পুলিশকে ব্যবহার করছে। প্রতিবারই কোনো কর্মসূচির আগে পুলিশ এই কাজ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাতভর বিএনপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’
তাঁর দাবি, অনেক নেতা–কর্মীর নামে কোনো মামলা নাই, গায়েবি মামলার নামে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। আন্দোলন বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেউ যেন এলাকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে এ জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপি নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া সবার নামেই মামলা আছে। মামলার ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আইন মেনেই আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।’