সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে মরিয়ম খাতুন নামের (১৭) এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার ১ ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তামাই কুয়েত পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মরিয়ম খাতুনের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহত মরিয়ম বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিম পাড়া গ্রামের সামসুল মোল্লার মেয়ে।
গৃহবধূর পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার পর ঘরে ধরনার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরিয়ম খাতুনের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস আগে উপজেলার তামাই কুয়েত পাড়া গ্রামের বুদ্দুর ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরিবারের অমতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মরিয়মের স্বামী পাবনায় তাঁতের কাজ করতেন। অমতে বিয়ে হওয়ার কারণে দু পরিবারের মধ্যে কোনো যোগাযোগ ছিল না।
মরিয়মের জা তানিয়া জানান, ‘আজ সকাল ৬টায় ঘরের দরজা বন্ধ দেখে জানালা দিয়ে মরিয়মের ঘরে ভেতর তাকিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আমি চিৎকার দিলে মামা শ্বশুর এসে ধরনার সঙ্গে শাড়ি দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় মরিয়মের মরদেহ নামিয়ে মাটিতে রাখেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক এলাকাবাসী জানান, মেঝেতে রক্ত ছিল। মরিয়মের মৃত্যুর পর থেকেই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন উধাও হয়েছে।
বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম জানান, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। মৃত্যুর কারণ জানার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরিয়মের শ্বশুর বাড়ির পরিবার ও মামা শ্বশুর হাজী ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।