ঢাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফনের প্রস্তুতি চলছে রাজশাহীতে। নগরের সপুরা গোরস্থানে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কবর খননের কাজ শুরু হয়।
স্বজনেরা জানান, বিকেলে বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে তৌকিরের মরদেহ রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দরে আসবে। তারপর জানাজার জন্য মরদেহ নেওয়া হবে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে। জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।
স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে সপুরা গোরস্থানে পাইলট তৌকির ইসলামের মরদেহ দাফন করা হবে।
সাগরের বাবা তহুরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করছেন। বর্তমানে নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ২২৩ নম্বর বাড়িটিতে ভাড়া থাকেন তাঁরা। সোমবার বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই ‘আশ্রয়’ নামের বাড়িটির সামনে প্রতিবেশী, স্বজন ও উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন।
সোমবার বিকেলে বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, মামা মোহাম্মদ আলী, ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন ও তার স্বামী ডা. তুহিন ইসলামকে ঢাকায় নেওয়া হয়। বিকেলে মরদেহের সঙ্গেই তারা রাজশাহী ফিরবেন।
নিহত তৌকিরের স্ত্রী ঢাকায় সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন। তিনিও আসবেন স্বামীর মরদেহের সঙ্গে। বছরখানেক আগেই বিয়ে করেছিলেন তৌকির। স্ত্রী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক।
তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে।