এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি এলাকায় আবারও বোমাসদৃশ বস্তু দেখা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। আজ শনিবার এলাকায় কালো টেপ মোড়ানো এ বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর এবং সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশসহ পুরো এলাকা ঘিরে রাখেন।
পুলিশ বলছে, আজকের এটিও ককটেল হতে পারে। আগের ককটেলটির সঙ্গে এটির হুবহু মিল।
সকালে বোমাসদৃশ বস্তুটি প্রথম দেখেন কেরু কলোনির বাসিন্দা মো. স্বপন। তিনি বলেন, ‘ছাগল চরাতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে কালো টেপ মোড়ানো বোমার মতো একটা কিছু দেখতে পাই। এক দিন আগেও একই রকম বোমা পাওয়ায় সন্দেহ হয়। গার্ডদের জানালে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অফিসসংলগ্ন ক্লাবের পাশের ঝাড়ের মধ্যে লাল টেপ মোড়ানো একটি বস্তু দেখতে পান কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী। এই নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
পরে বোমাসদৃশ বস্তু সন্দেহে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এলাকাটিকে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রাত ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে র্যাবের একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে এসে ককটেলটি নিষ্ক্রিয় করে। এ সময় ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
ওসি মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘আবারও একই ধরনের টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। এটাও ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ পূর্বের পাওয়া ককটেলের সঙ্গে এটার হুবহু মিল হয়েছে। তবে পূর্বেরটা লাল টেপ মোড়ানো ছিল, আজকেরটা কালো টেপ মোড়ানো। রাজশাহী র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারের ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় কেরু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। এর মধ্যে আবারও একটি পাওয়া গেল বলেই ধারণা করছি। এটি গভীর তদন্ত করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আবারও বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার হওয়ায় কেরু কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শ্রমিক বলেন, ‘দ্রুতই কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন দেওয়া উচিত। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তৃতীয় পক্ষ কাজটি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইদানীং কেরু চত্বরে বহিরাগতদের আনাগোনা ও প্রশাসনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সম্ভবত একটি মহল নির্বাচনকে বিলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে।’