হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

শ্বাসরোধে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে প্রচার, গ্রেপ্তার ৪ 

রাজশাহীতে এক যুবককে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ট্রাকের নিচে ফেলে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি উঠে এলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এতে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়। পরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের একজন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

গ্রেপ্তার চারজন হলেন রাজশাহী মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার পশ্চিম বাঘাটা গ্রামের সবুজ আলী (২৮), মহানন্দাখালী গ্রামের কাওসার আলী (৪২), একই এলাকার সজল আহম্মেদ (২৮) ও সজলের স্ত্রী সুইটি খাতুন (২২)। রাজশাহীর পবা থানা-পুলিশ গত ২৪ জুলাই তাঁদের গ্রেপ্তার করে। 

সজল ও তাঁর স্ত্রী সুইটির রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। রিমান্ড শেষে বুধবার তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সজল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র রফিকুর আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ১ জুলাই পবার নওহাটা-দুয়ারী রাস্তা থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সেদিন মরদেহের প্যান্টের পকেটে টিকা কার্ড পাওয়া যায়। এটি দেখে জানা গেছে, মৃতের নাম সুলতান আলী। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী গ্রামে বাড়ি। 

রফিকুর আলম জানান, স্থানীয়রা খবর দিয়েছিলেন ট্রাকের নিচে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে কপালের বাম পাশে ও গলার আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তাই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। গত ২২ জুলাই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, সুলতানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ২৪ জুলাই নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়। 

আসামি সজলের বরাত দিয়ে আরএমপির মুখপাত্র জানান, সুলতান ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। দুই মাস আগে মোবাইল ফোনে সজলের স্ত্রী সুইটির সঙ্গে সুলতানের পরিচয় হয়। তারপর সুলতান দেখা করার জন্য প্রায়ই সুইটিকে প্রস্তাব দিতেন। সুইটি তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হলে সুলতান সুইটির তিন বছরের বাচ্চার ক্ষতি করার হুমকি দেন। তখন সুইটি বিষয়টি তাঁর স্বামীকে জানান। 

সজল তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে ১ জুলাই সুলতানকে ডেকে পাঠান। কথামতো সুলতান এলাকার একটি পার্কে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় পরিকল্পনা মোতাবেক সজল, তাঁর বন্ধু সবুজ ও চাচা আনারুল ওই পার্ক থেকে সুলতানকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় করে তুলে আনেন। এরপর তাঁরা সুলতানকে মারধর করেন এবং পরিবারের লোকজনকে ডাকার জন্য চাপ দেন। কিন্তু সুলতান তাঁর বাড়ি থেকে কাউকে ডাকেননি। এ কারণে বেলা ৩টার দিকে এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে অটোরিকশার ভেতরেই শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়। এরপর চলন্ত ট্রাকের সামনে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় বলে জানান আরএমপির মুখপাত্র। 

রফিকুর আলম জানান, মরদেহ ফেলে আসামিরা পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন মনে করেন, ট্রাকের নিচে পড়েই সুলতানের মৃত্যু হয়েছে। পরে স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। তবে শেষপর্যন্ত ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দুয়ারেই বিষাক্ত ধোঁয়া দম বন্ধ পড়াশোনা

রাজশাহীতে কৃষক লীগ নেত্রী ও আ.লীগ সমর্থক আইনজীবীর মনোনয়নপত্র দাখিল

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোকে স্তব্ধ বগুড়াবাসী

কম্বল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার