ছয় আনা দামে রাজশাহীর এক হোটেলে ৭২ বছর আগে পাওয়া যেত এক বাটি ফিরনি। এখন মাটির ছোট বাটিতে সেই ফিরনি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। টানা ৭২ বছর ধরে হোটেলটির এই ফিরনি রাজশাহীর মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। রমজান মাস এলে ইফতারের অনুষঙ্গ হিসেবে এর চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
জানা যায়, রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রহমানিয়া হোটেল ১৯৫০ সাল থেকে এই ফিরনি বিক্রি হচ্ছে। শুরুটা করেছিলেন আনিসুর রহমান খান। ভারতের এই খাবার তিনিই রাজশাহীতে জনপ্রিয় করে তোলেন। রহমানিয়ার এই ‘দিল্লির শাহি ফিরনি’ ৭২ বছর ধরেই এক নামে চলছে। চালের গুঁড়া, কিশমিশ, চেরি ফল ও চিনির সঙ্গে নানা ধরনের মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই ফিরনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এর স্বাদ গ্রহণ করে যাচ্ছে।
হোটেলটির মালিক এখন রিয়াজ আহমেদ খান। প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান তাঁর দাদা। রমজান মাসে দিল্লির শাহি ফিরনি রাজশাহীর বাসিন্দাদের প্রধান আকর্ষণ। বছরের পর বছর ধরে একশ্রেণির ক্রেতা রমজানের প্রতিদিন এই ফিরনি কিনে নিয়ে যান। প্রতিনিয়ত নতুন ক্রেতাও আসেন। রমজানে ক্রেতা সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় হোটেলের লোকজনকে।
সরেজমিনে রহমানিয়া হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, অন্য ইফতারসামগ্রীর পাশাপাশি ফিরনিও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রত্যেক ক্রেতার হাতে রয়েছে এই ফিরনি।
এ বিষয়ে ক্রেতা আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমার বাবা এই ফিরনির ভীষণ ভক্ত। তাই প্রতিদিনই ইফতারের জন্য ফিরনি কিনে নিয়ে যাই।’
সুফিয়ান আরও বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও এই ফিরনি ১৫ টাকায় বিক্রি হতো। এখন দাম হয়েছে ৩০ টাকা। তা-ও ফিরনির অতুলনীয় স্বাদের কারণে কেনা ছাড়িনি।’