স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে রাজশাহী-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলকারী আন্তনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখন থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করছে। আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো ট্রেনটি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যায়। প্রথম এ যাত্রায় ইতিহাসের সাক্ষী হতে রাজশাহী থেকে অনেকে ট্রেনটিতে ভ্রমণ করেন।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম বলেন, প্রথম দিনে ৯টি কোচ নিয়ে চলছে ট্রেনটি। প্রথম দিনেও যাত্রী উপস্থিতি ছিল ভালো। সবাই উৎসাহ নিয়ে ভ্রমণ করছেন। ট্রেনটির সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার। অন্য দিনগুলো ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঈশ্বরদী-হার্ডিঞ্জ ব্রিজ-পদ্মা সেতু পার হয়ে বেলা ২টায় ঢাকা পৌঁছাবে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে বেলা ৩টায় ছেড়ে একই পথে রাজশাহী পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।
তিনি আরও জানান, মধুমতি এক্সপ্রেসে যাত্রীদের আসন রয়েছে ৫৫৮টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির কোচে আসনসংখ্যা ২৪। শোভন চেয়ারে ৪৪ এবং শোভন শ্রেণিতে ৪৯০টি আসন রয়েছে। রাজশাহী থেকে ঢাকা শোভন কোচে ভাড়া ৩৯৫ টাকা, শোভন চেয়ারে ভাড়া ৪৭০ টাকা আর প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া ৭১৯ টাকা।
যাত্রাপথে ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালী, খোকসা, পাংশা, কালুখালী, রাজবাড়ী, পাঁচুরিয়া জংশন, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, তালমা, পুখুরিয়া শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। যাত্রী ওঠানামার সুবিধা চালু হলে ভাঙ্গা জংশন স্টেশনেও থামবে।
পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী থেকে প্রথম যাত্রার সাক্ষী হতে রাজশাহীর কয়েকজন সাংবাদিক এই ট্রেনে যাত্রা করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ এত দিন শুধু যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা যেতেন। এখন থেকে পদ্মা সেতু হয়েও যেতে পারবেন। এটা অনেক বড় একটা সুযোগ এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও অসাধারণ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, মধুমতি এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার দূরত্ব একটু বেশি হচ্ছে। তবে যাত্রীদের কাছে এটা কোনো ব্যাপার না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, রাজশাহী-ঢাকা রুটে একটি ট্রেন বেড়ে গেল মধুমতির মাধ্যমে। এটা রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের জন্য বেশ ভালো হলো।