সবকিছুই ঠিকঠাক। সন্ধ্যায় নাবালিকা কন্যার বাড়িতে হাজির হওয়ার কথা বর ও বরযাত্রীর। রান্না ও আয়োজন শেষ প্রায়। অপেক্ষা শুধু বিয়ের। বর ও কাজি আসার অপেক্ষায় তখন বাড়ির সবাই। তবে বর-কাজি নয় আসলো পুলিশ। আর এর সঙ্গেই ভেস্তে গেল সকল আয়োজন। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী। মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেলেন কনে পক্ষ।
জানা যায়, রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নে মারিয়া গ্রামের সুপর্না (ছদ্মনাম ১৬)। স্থানীয় একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার চন্দনকোঠা গ্রামে।
বর ও কাজি আসার আগেই রোববার বিকেল ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের ফোর্সসহ তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তারা বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে কনে পক্ষকে বোঝান। পরবর্তীতে কনে পক্ষ আর বাল্য বিবাহের আয়োজন করবেন না এমন মর্মে মুচলেকা দিয়ে করে রক্ষা পান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান।