রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাঁরা মারা যান।
হাসপাতালটিতে গত ২৬ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৭ জুন সকাল ৮টার মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১২ থেকে ২৫ জন পর্যন্ত মারা গেছেন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হলো।
রামেক হাসপাতালে চলতি জুলাই মাসে এ নিয়ে মোট ৪২২ জনের মৃত্যু হলো। গত জুনে মারা গেছেন ৪০৫ জন। শনিবার সকালে হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে নতুন করে ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর ছয়, পাবনার দুজন এবং নাটোর, নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন। এর মধ্যে রাজশাহীর চারজন এবং নওগাঁ, পাবনা ও কুষ্টিয়ার একজন করে মোট সাতজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্য চারজন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাঁদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন নারী, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুজন করে নারী ও পুরুষ এবং ষাটোর্ধ্ব চারজন পুরুষ ও দুজন নারী ছিলেন।
হাসপাতালে এখন করোনা ডেডিকেটেড শয্যা ৫১৩টি। শনিবার সকালে ভর্তি ছিলেন ৪১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৭ জন। হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৯৪ জন। উপসর্গ নিয়ে আছেন ১৭২ জন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক নানা জটিলতায় কোভিড ইউনিটে ভর্তি ছিলেন আরও ৫৩ জন রোগী।
করোনা ইউনিটে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে ২০৭ জন রাজশাহীর, ২৩ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, ৬৫ জন নাটোরের, ৪৩ জন নওগাঁর, ৪৩ জন পাবনার, ১৬ জন কুষ্টিয়ার, নয়জন চুয়াডাঙ্গার, সিরাজগঞ্জ ও ঝিনাইদহের চারজন করে, মেহেরপুর ও জয়পুরহাটের দুজন করে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন রোগী ভর্তি ছিলেন।