পাবনার ঈশ্বরদীতে কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় মমিন উদ্দিন (৪৩) নামে এক দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে একই দিন বিকেলে তাঁকে উপজেলার দাশুড়িয়া গাফফার প্লাজা সুপার মার্কেটে থেকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার মমিন উদ্দিন উপজেলার দাশুড়িয়ার হঠাৎপাড়া গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পুলিশের কাছে তাঁর দোষ অস্বীকার করেছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রী গতকাল সকালে দাশুড়িয়া গাফফার প্লাজা সুপার মার্কেটের একটি দোকানে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফটোকপি করতে যান। কিন্তু ফটোকপির দোকান বন্ধ থাকায় পাশের কনফেকশনারির দোকানমালিক মমিন উদ্দিন তাঁকে তাঁর দোকানের ভেতর বসতে অনুরোধ করেন। ছাত্রীটি সরল বিশ্বাসে দোকানের ভেতরে গেলে মমিন উদ্দিন কথাচ্ছলে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। ছাত্রীটি নিজেকে রক্ষা করে সেখান থেকে দৌড়ে বের হয়ে যান।
গাফফার প্লাজার স্বত্বাধিকারী সজল মালিথা সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা শুনে তিনি তাৎক্ষণিক মার্কেটে যান এবং কনফেকশনারির মালিক মমিন উদ্দিনের বাবাকে মার্কেটে ডেকে এনে মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। মমিন এ সময় অপরাধের জন্য ওই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চান।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ছাত্রীটি বাড়িতে ফিরে যান। পরে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর বাবা দোকানি মমিনের বিচার চেয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এর আগে পুলিশ মৌখিক অভিযোগে দোকান থেকে মমিনকে আটক করে।
ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় মুমিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, থানায় একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মমিন উদ্দিনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।