সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
মাসুমা ইসলাম এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র মেয়ে।
মাসুমা রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন। শিক্ষাজীবন থেকেই তাঁর সাংবাদিকতা শুরু, পরে এটিকেই পেশা হিসেবে নেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে তিনি বিয়ে করেন। রাজশাহীতে স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঠিক করার সময় দ্রুতগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চালক, মাসুমা আক্তার ও তাঁর স্বামী গুরুতর আহত হন। মাসুমাকে প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার দিন পর আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান রাকিবুল হাসান রাজিব জানান, মাসুমার মরদেহ রাজধানীর বাবর রোডে মারকাজুল ইসলামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে গোসল শেষে আনুমানিক সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নাটোরের গুরুদাসপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
মাসুমা ইসলাম কঠোর পরিশ্রমী ও বিনয়ী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে রাজশাহীর সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।