ঢাকা থেকে অপহৃত শিশু আরমানকে (৮) নাটোরের বড়াইগ্রামে মাইক্রোবাস থেকে ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার আহম্মেদপুর কানন ফিলিং স্টেশনের সামনে তাকে ফেলে যায়। তবে শিশুটি তার মা-বাবার নাম বলতে পারলেও বাড়ির ঠিকানা বলতে পারছে না। এ কারণে তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও যাচ্ছে না।
শিশু আরমানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে সে তার মা আসমা খাতুনের সঙ্গে ঢাকার স্থানীয় একটি বাজারে যায়। এ সময় তার মা বাজার করায় ব্যস্ত থাকার কয়েক ব্যক্তি তাকে জোর করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে কয়েক ঘণ্টা ধরে মাইক্রোবাস চালিয়ে তারা বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর এলাকায় আসে। এ সময় মাইক্রোবাসটি সেখানে দাঁড়ালে শিশুটি চিৎকার শুরু করে।
ধরা পড়ার আশঙ্কায় তারা দ্রুত শিশুটিকে মাইক্রো বাস থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ সময় সে তার বাবার নাম সাব্বির হোসেন বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে না পারায় তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মাইক্রোবাসে থাকা লোকগুলো মুখোশ পরা থাকায় তাদের কাউকে চিনতে পারেনি বলে জানায় শিশুটি।
আহম্মেদপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা তার স্বজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তাকে আপাত খাবার দেওয়াসহ নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে সে ঠিকানা বলতে না পারায় স্বজনদের খুঁজে পেতে অসুবিধা হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে শিশুটিকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেব।’