হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

একই সময়-ব্যানারে তানোরে আওয়ামী লীগের পৃথক আয়োজন

প্রতিনিধি, তানোর (রাজশাহী) 

২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৭ তম বার্ষিকী উপলক্ষেও রাজশাহীর তানোরে উপজেলা আওয়ামী লীগ একই ব্যানারে মাত্র ৫০ গজের মধ্যেই পৃথক দুটি ভেন্যুতে আলাদা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। 

ভয়াল গ্রেনেড হামলা দিবসে একই সময়ে কাছাকাছি আর একই ব্যানারে আলাদা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় উভয় সমাবেশের মাইকের আওয়াজে কোনোটাই ভালোভাবে শুনতে পারেননি অনেক শ্রোতারা। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে। 

শনিবার শেষ বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তানোর শাখার ব্যানারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরীর সভাপতিত্বে তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া বাজারের দলীয় কার্যালয়ে রক্তাক্ত ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে নিন্দা-প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ খাঁন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জিল্লুর রহমান মাস্টারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ (ময়না)। উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুসারী কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সহ বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

অন্যদিকে মাত্র ৫০ গজের মধ্যেই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের অপর ব্যানারে অনুষ্ঠিত গ্রেনেড হামলা দিবসে নিন্দা-প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী। এ অনুষ্ঠানে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হকের সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরোর সঞ্চালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল হাসান পাপুল সরকার, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুর রহমান সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। 

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্ত থেকেই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি গোলাম রাব্বানী-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী দারুণ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু গত জাতীয় নির্বাচনের ঠিক পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁরা দুই পক্ষে বিভাজিত হয়ে পড়েন। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী এবং তাঁর অনুসারী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ (ময়না)। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরপর থেকে দুই পক্ষই নিজেদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলাদা আয়োজনে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। 

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, দুই পক্ষই নিজেদের আয়োজনে গ্রেনেড হামলা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করেছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ সদস্য অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান করছিলেন। 

রাজশাহীতে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ সুশীল সংবাদপত্র অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: রাকসু ভিপি

বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম তুললেন দণ্ডিত আসামি, খুঁজে পায় না পুলিশ

ভেকু দিয়ে যুবককে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আ.লীগ পরিত্যক্ত কার্যালয়

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে থানায় নিখোঁজের জিডি

রাবিতে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাকসুর জিএস আম্মারের

ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে যাত্রা, পুলিশি বাধায় পণ্ড

আবাদি জমিতে পুকুর খননে বাধা, কৃষককে এক্সকাভেটরের নিচে ফেলে হত্যা