হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

নিম্নমানের পাথর, পদ্মার তীর রক্ষাবাঁধের ব্লক তৈরির কাজ বন্ধ

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদীর তীরের প্রতিরক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ব্লক তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের পাথর দিয়ে ব্লক তৈরি করছেন ঠিকাদার। এ ছাড়া বালু-পাথর ও সিমেন্ট মিশ্রণের সঠিক অনুপাত মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় ব্লক তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পের চারঘাট উপজেলার রাওথার অংশে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫২ মিটার সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ন্যাশনটেক-মোজাহার (জেভি)। কাজ শুরুর কথা ছিল চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এবং শেষ করার সময় আগামী বছরের ৩১ মে। কিন্তু নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।  

ওই কাজের দরপত্র অনুযায়ী এক বালতি সিমেন্টের সঙ্গে তিন বালতি বালু এবং ছয় ঝুড়ি (টুকরি) পাথরে সঠিক মিশ্রণ তৈরি নির্দেশনা রয়েছে। অথচ প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের সঙ্গে সাত বালতি বালু এবং ১৩ ঝুড়ি পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যবহৃত পাথর নিম্নমানের বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। 

রফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘পদ্মা নদীর এ বাঁধ আমাদের এলাকাবাসীর জন্য বহু প্রতীক্ষিত। অথচ একেবারে নিম্নমানের পাথর নিয়ে আসা হয়েছে ব্লক তৈরি জন্য ৷ বালু-পাথর ও সিমেন্ট মিশ্রণের সঠিক অনুপাত মানা হচ্ছে না। আমাদের দাবিতে ব্লক নির্মাণকাজ বন্ধ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে বাঁধের নির্মাণকাজ আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে শেষ হওয়া নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হলে আবারও ভাঙনের শিকার হব আমরা।’ 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনটেক-মোজাহারের (জেভি) প্রজেক্ট ইনচার্জ জালাল উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কোনো পাথর বাতিল করা হয়নি। আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করছি। পাথর খারাপ থাকলে নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়বে। তবে পাউবোর নির্দেশনায় ও ব্লক রাখার জায়গার সংকটে আপাতত কাজ বন্ধ আছে।’  

কাজ দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘আমরা ব্লক তৈরির কাজ প্রতিনিয়ত তদারকি করছি। নতুন আমদানি পাথরগুলো দেখে আমাদেরও সংশয় রয়েছে। এ জন্য কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সারওয়ার-ই-জাহান বলেন, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্লক তৈরির জন্য বর্তমানে বড়পুকুরিয়ার পাথর আমদানি করেছে। এ ধরনের পাথর নদীর ব্লক তৈরির কাজে কখনো ব্যবহার হয় না। এ জন্য আমরা পাথরের গুণগত মান যাচাই করতে পাঠিয়েছি। পাথরের প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ব্লক নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে। প্রতিবেদনে পাথরের মান ভালো আসলে তবেই কাজ শুরু হবে।’ 

শিশু সাজিদের মৃত্যু: মামলা করবে না পরিবার, ডিসি বললেন মামলা হবে

ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, মারধর করে টাকা লুটের অভিযোগ

স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় ছাত্রদল নেতা কারাগারে

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন ২১ ডিসেম্বর

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটে ট্রাক–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১

সাজিদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

দুর্গাপুরে বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও মোনাজাত

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত তিন