বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলার পঞ্চম আসর বসেছে রাজশাহীতে। উৎসবে যোগ দিতে এরই মধ্যে ভারতের ত্রিপুরার মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল ও আরও কিছু অতিথি, সাংস্কৃতিক কর্মী রাজশাহী পৌঁছেছেন। শনিবার থেকে মিলনমেলার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এ লক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পদ্মাপাড়ের এই শহরকে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ৫০ বছর পূর্তিতে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এ আয়োজন করছে। আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। মেলা চলবে সোমবার পর্যন্ত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে রাজশাহী কলেজ মাঠে। এ উপলক্ষে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রাজশাহী কলেজ মাঠে স্থানীয় নানা পণ্যের মেলারও আয়োজন করেছে। শুক্রবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেলার উদ্বোধন করেন।
এদিকে আয়োজনের বিশেষ অতিথি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা হয়ে আকাশপথে রাজশাহী পৌঁছান। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মী, ডেলিগেটসহ ৩২ জনের একটি দলও এদিন বাংলাদেশে পৌঁছায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দর হয়ে। বাংলাদেশে প্রবেশ করেই সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা।
মিলনমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসবেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব বর্মা। থাকবেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকও। এ ছাড়া ভারতের বিহার রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সৈয়দ শাহনেওয়াজ হোসেন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রী ড. হুমায়ুন কবীরও আসবেন। শনিবার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তেরও রাজশাহী আসার কথা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভারতীয় অতিথিদের সঙ্গে থাকবেন।
অতিথিরা শনিবার শহরের সি অ্যান্ড বি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারপর সোমবার পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানে তাঁরা যোগ দেবেন। রোববার অতিথিদের নাটোরে যাওয়ারও কথা রয়েছে। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত এবং দৃঢ় হবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।