অবরোধ ডেকে নাটোরে মাঠে নেই বিএনপি। অবরোধের সমর্থনে বিএনপির কাউকেই রাস্তায় দেখা যায়নি। ফলে নাটোরে কোথাও কোনো যানবাহন অবরোধের কবলে পড়েনি। রাজপথ দখলে রেখেছেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তবে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করায় শহরের হরিশপুর বাস টার্মিনালে মাইকিং করেও যাত্রী পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার নাটোরের চার মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকাল থেকে নাটোর-ঢাকা ও নাটোর-পাবনা মহাসড়কে বাস চলবে জানিয়ে হরিশপুর বাস টার্মিনালে মাইকিং করে জেলা বাস মালিক সমিতি। তবে এই মাইকিংয়ে আশ্বস্ত হয়ে যাত্রী আসেনি। চলাচলের জন্য একাধিক বাস নামানো হলেও যাত্রী না থাকায় সেগুলো আবারও বাসস্ট্যান্ডে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
সকাল থেকে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে কোনো বাস চালতে দেখা যায়নি। এ সময় অল্প যাত্রী নিয়ে কিছু লেগুনা ও ইজিবাইক রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী তোকিয়া পর্যন্ত চলতে দেখা গেছে।
নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সকাল থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাস নামানো হলেও যাত্রী না থাকায় বাস চলেনি। আন্তজেলা বাসগুলো চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হলেও যাত্রীর সংকটে চলেনি।
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার পোদ্দার বলেন, ‘অবরোধের প্রথম দিন যাত্রীরা কিছুটা ভীত-সন্ত্রস্ত বা আতঙ্কে থাকতে পারেন। তবে আমরা আশ্বস্ত করছি যে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি রয়েছে।’
এদিকে বাস না চললেও ট্রেন ছেড়েছে সময়মতো। এ ছাড়া সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক চলেছে স্বাভাবিক সময়ের মতো।
অবরোধের বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য জানতে জেলা বিএনপির জেলা আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মী বিএনপির যেকোনো অবরোধ ও সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে সক্রিয় আছে। কঠোর জবাব দেওয়া হবে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহতের চেষ্টা করলে।
জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, যান চলাচল এবং জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কাউকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।