রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অন্তত ১৮০ বিএনপির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর সদর ডিগ্রি কলেজ মাঠের পাশের একটি টিনশেডের বাসায় বিএনপির গোপন বৈঠকের সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩ থেকে ৪টি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা ও বাঁশের লাঠিসোঁটা জব্দ করা হয়। পরে থানায় উপজেলা বিএনপির ১৬জন নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৬০ থেকে ১৮০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আরিফ।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন, ‘গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০দিকে নাশকতার জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুর্গাপুর সদর ডিগ্রি কলেজ মাঠের পাশে একটি টিনশেডের বাসায় গোপন বৈঠক করছিল। এ সময় তাঁরা তিন থেকে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩ থেকে ৪টি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা ও বাঁশের লাঠিসোঁটা জব্দ করা হয়। পরে থানায় উপজেলা বিএনপির ১৬জন নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৬০ থেকে ১৮০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।’
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামারুজ্জামান আয়নাল বলেন, ‘আগামী ৩ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে যেন না যেতে পারেন সে জন্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করেছে পুলিশ। মামলা দিয়েও বিভাগীয় সমাবেশের জনস্রোত থামানো যাবে না।’
এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হকে একাধিকবার কল করা হয়। কল না ধরায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।