হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

মৃত্যুর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম দেখতে চান হাফিজুর

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি 

মো. হাফিজুর রহমান চাঁদুর দাবি, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। আছে বিভিন্ন সনদপত্র। দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে মিলছে না বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি। মৃত্যুর আগে নিজের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় দেখতে চান তিনি। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি গেজেটভুক্ত হতে আগ্রহী হাফিজুর রহমান চাঁদুর বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের উজান খানমাহমুদপুর গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অংশ নেওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। 

সম্প্রতি খানমাহমুদপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় হাফিজুর রহমান চাঁদুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি একজন অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধা। কত জায়গায় যুদ্ধ করেছি। সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ করেছি সাঁথিয়ার নন্দনপুর, নাগডেমড়া, ডেমড়া কাইল্যান এলাকায়। আমার সঙ্গে যুদ্ধ করা সবাই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায়, আমি কেন পাই না?’ 

যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ধুলাউড়িতে একবার পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েছিলাম। পরে সুযোগ পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে বেঁচেছিলাম।’ 

হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছেন। তাঁদের ছেলেমেয়েরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাচ্ছে। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও আমি আর্থিক অনটনে পড়ে নিঃস্ব অবস্থায় দিনাতিপাত করছি। বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি। আমি আপিল করেছি, কিন্তু আমাকে ডাকা হয় না। বয়স হয়েছে, যেকোনো দিন মারা যাব। সরকারের কাছে আবেদন, মরার আগে অন্তত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নিজের নামটি দেখে যেতে চাই।’ 
 
উজান খানমাহমুদপুরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ৭ বছর। তখন দেখেছি হাফিজ চাচা অস্ত্র হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে করে আমাদের বাড়িতে আসছেন। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গেছেন যুদ্ধ করতে। তাঁর সঙ্গে যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা সবাই ভাতা পাচ্ছেন অথচ চাচা আজও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি গেজেটভুক্ত হলেন না।’ 

সাঁথিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘যেহেতু তিনি (হাফিজুর) সব সনদ নিয়ে আপিল করেছেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই। আদালত যেটা করবে সেটাই।’ 

হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন বলে দাবি উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম (সরকারি গেজেটভুক্ত)। তিনি বলেন, ‘হাফিজুর একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। হাফিজুর যেন গেজেটভুক্ত হন, সে জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও সরকারের কাছে দাবি।’ 

ধোপাদহ গ্রামের আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় কুমার বলেন, ‘হাফিজুর আমাদের রণাঙ্গনের সাথি।’ তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটপ্রাপ্ত হলো, অথচ হাফিজুর হলেন না। প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতি আবেদন থাকবে, হাফিজুরকে গেজেটভুক্ত করা হোক।’

রাজশাহীতে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ সুশীল সংবাদপত্র অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: রাকসু ভিপি

বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম তুললেন দণ্ডিত আসামি, খুঁজে পায় না পুলিশ

ভেকু দিয়ে যুবককে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আ.লীগ পরিত্যক্ত কার্যালয়

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে থানায় নিখোঁজের জিডি

রাবিতে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাকসুর জিএস আম্মারের

ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে যাত্রা, পুলিশি বাধায় পণ্ড

আবাদি জমিতে পুকুর খননে বাধা, কৃষককে এক্সকাভেটরের নিচে ফেলে হত্যা