ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ভবানীপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে আজ (বুধবার) নিহতের দুই দিন পর লাশটি বুঝে পায় বিজিবি। পরে যশোর সদর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর প্রথম জানাজা হয় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে নিহত সৈনিকের লাশ নিয়ে আসা হয় শিবগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়ামে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের কাছে রইশুদ্দীনের লাশ বুঝে দেওয়া হয়।
রইশুদ্দীনের লাশ তার নিজ গ্রামে পৌঁছালে শোকে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভবানীপুর গোরস্থানে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হয়। লাশ বুঝিয়ে দেওয়ার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি ও যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার সিপাহি রইশুদ্দীন নিহতের ঘটনার পর যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্য খোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারির সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে রইশুদ্দীনকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সৈনিক মারা গেছেন।
এ বিষয়ে বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়। এ ছাড়া লাশ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ রাখা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো।