হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

হল নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে রাবিতে দুদক, প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ১০তলাবিশিষ্ট শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে সরেজমিন এ অভিযান চালায় তারা। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুদকের এই তদন্ত দল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার শাহরিয়ার রহমান ও প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২৪ হাজার বর্গমিটার জায়গা নিয়ে নির্মিত এই হলটি ১০তলাবিশিষ্ট হবে। ভবনের মধ্যে থাকবে তিনটি ব্লক। প্রায় এক হাজার আসনবিশিষ্ট এই হলের সব কক্ষই হবে দুই আসনবিশিষ্ট। পুরো ভবনে চারটি লিফটের ব্যবস্থা থাকবে; যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ওঠানামা করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হল নির্মাণ করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন এই হলের নির্মাণকাজ করছে।

এর আগে চলতি বছরের গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের এক অংশের ছাদ ধসে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ৯ জন নির্মাণশ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেই রাতেই জরুরি সভা ডেকে ওই ঘটনার কারণ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে সময় তদন্ত করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

তবে আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বালিশকাণ্ডে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ কন্সট্রাকশনকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে বেশ আলোচিত ছিল তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদেরই একটি ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। বালিশকাণ্ডের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে পড়া ঘটনায় আবারও আলোচনায় আসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

বেলা সোয়া ২টায় অভিযান শেষে রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীসহ অভিযান পরিচালনা করেছি। মূলত আমাদের কমিশনের ১০৬ হটলাইন নম্বরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এসেছি। আমরা ভবনসংক্রান্ত সকল নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে ভবন নির্মাণকাজে অসংগতি ও অনিয়ম পেয়েছি। পরবর্তীতে সমস্ত আলামত কমিশনের নিকট সাবমিট করার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক এসেছিল নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের দুর্ঘটনার বিষয়ে। তারা আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিল, আমরা সেগুলো দিয়েছি।’

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সিরাজগঞ্জে লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ২

যুবকের হাত-পা কেটে দেওয়ার অভিযোগ জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে

চিড়িয়াখানা ফাঁকা করে আবার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টায় রাসিক