রাজশাহীর বাঘায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় রত্না খাতুন (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ৩টায় উপজেলার বাঘা-আড়ানী সড়কের তেপুকুরিয়া মসজিদ মোড়ে এই ঘটনাটি ঘটে।
রত্না খাতুন উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের নুরনগর সরকারপাড়া গ্রামে বাবা আবদুল হান্নানের মেয়ে এবং মনিগ্রাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামে নানা মফেজ আলীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে।
স্থানীয়রা জানান, রত্না খাতুন তার খালাতো ভাই জনি আহম্মেদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে তেঁথুলিয়া গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে ঈদের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বাঘা-আড়ানী সড়কের তেপুকুরিয়া মসজিদ মোড়ে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্স তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা রত্না খাতুন সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক জনি আহম্মেদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্সটিকে আটক করা যায়নি।
মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবদুল মতিন বলেন, তারা উভয়ে গঙ্গারামপুর গ্রামে নানা মফেজ আলীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া গ্রামে এক নিকট আত্মীয়র বাড়ি থেকে ঈদের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়। রত্নাকে রাত ৯টায় তার বাবার এলাকার সামাজিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে এ বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’