ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ফ্লাইওভারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় সাহায্য চাইলেও এগিয়ে আসেননি পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ আল জাহেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ফ্লাইওভার এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলেন। এ সময় পাঁচ-সাতজন ছিনতাইকারী তাঁর পথ রোধ করে। পরে তারা মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন দিতে বলে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে পেছন থেকে একজন ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে। পরে তাঁরা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাহেদ চিৎকার করলেও পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসেননি। এরপর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পুলিশ বক্সের সামনে আসেন। তারপর পুলিশ সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পাঠান। পরে ভুক্তভোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ শুধু লুডু খেলে! শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়লেও তারা এগিয়ে আসে না।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পুলিশের সহায়তার জন্য চিৎকার করেননি। তিনি আহত অবস্থায় আমাদের পুলিশ বক্সের সামনে আসেন। সে সময় আমাদের পুলিশ সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে মেডিকেল সেন্টারে পাঠান।’
রাবির সহকারী প্রক্টর পুরণজিত মহলদার বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে শুনেছি ঘটনাটি ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। সে সময় আহত জাহেদ পুলিশের সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও তারা এগিয়ে আসেনি। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চলছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাহেদ নামে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করেছে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসি। আমি তার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি।’