হোম > সারা দেশ > নাটোর

১৫ দিনেই ধসে পড়েছে কোটি টাকার সড়ক

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে সদ্য কার্পেটিং করা নাটোরের গুরুদাসপুরের বামনকোলা-মশিন্দা গ্রামীণ সড়কটির বেশ কয়েক জায়গা ধসে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দের এই সংস্কারকাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। 

স্থানীয়রা বলছেন, মাস খানেক আগে নিম্ন মানের খোয়া বিছানোসহ এজিংয়ে নিম্ন মানের ইট এবং প্যালাসাইটিং নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ওই সড়কটিই কার্পেটিং করা হয়েছে। কার্পেটিংয়ের সময় এলাকাবাসী আপত্তি জানালেও তা না মেনে রাতের অন্ধকারে পিচ ঢালাই করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর সদরের গাড়িষাপাড়া ডাবলুর মোড় থেকে মশিন্দা আলতাবের মোড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার সড়ক সংস্কারের কাজটি নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তপন কুমার রায় পেলেও গুরুদাসপুরের স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। এই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু অংশে ৩ শ ফিট প্যালাসাইটিংও রয়েছে। কাজটি চলতি মাসের ১৫ তারিখে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের আলাল সরদার বলেন, জোড়াতালি দিয়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করেছে, যার কারণে দুই সপ্তাহ পার না হতেই সড়কটি ধসে পড়ছে। 

বামনকোলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের উপকরণে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তাই কার্পেটিংয়ের ১৫ দিনের মধ্যেই সড়কের বেশির ভাগ প্যালাসাইটিং অংশেই ধস নেমেছে। 

আলতাব প্রামাণিক, আছাদ প্রামাণিক ও আজগর আলীসহ স্থানীয় অন্তত দশজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের খোয়া বিছানোর পর কার্পেটিংয়েও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশে সড়কের প্রায় একশত ফিট জুড়ে ধসে গেছে। এ ছাড়া বামনকোলা মসজিদের কাছে মাঝপাড়া সাজেদুরের বাড়ির সামনে এবং বেশ কয়েকটি প্যালাসাইটিং অংশে সড়কের মাটি সরে গিয়ে পিচঢালা এবং এজিংয়ের ইট ধসে গেছে। 

তাঁরা বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব জায়গার পুরো সড়কই ধসে যাবে। এ কারণে দ্রুত সড়কটি সঠিকভাবে সংস্কার করা দরকার। 

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মো. মিল্টন উদ্দিন বলেন, ‘সড়কের যেসব জায়গা ধসে গেছে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।’ 

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মিলন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার খবর শুনেছি। ধসে যাওয়া জায়গাগুলো ঠিক করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। তা ছাড়া সড়কটির সংস্কার ব্যয়ের টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এখনো দেওয়া হয়নি। সংস্কার কাজ বুঝে নিয়ে বিল ছাড়া হবে।’ 

দুয়ারেই বিষাক্ত ধোঁয়া দম বন্ধ পড়াশোনা

রাজশাহীতে কৃষক লীগ নেত্রী ও আ.লীগ সমর্থক আইনজীবীর মনোনয়নপত্র দাখিল

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোকে স্তব্ধ বগুড়াবাসী

কম্বল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার