দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সেই ঘুরে দাঁড়ানো আরেকটু সহজ করে দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এই প্রথম রাজশাহীর অর্থনীতিতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ল ভর্তি পরীক্ষার ফলে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাবি ক্যাম্পাসে ঢাবির বিভিন্ন ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৬ হাজার ৫২৪ জন শিক্ষার্থী। আর রাবির ৪ হাজার ১৭৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬টি। ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৭০ জন রাজশাহী আসার কথা। তাঁদের সঙ্গে এক বা একাধিক অভিভাবকও রাজশাহী এসেছেন।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর গড়ে দেড় লাখ শিক্ষার্থী রাজশাহী এসেছেন। হোটেলের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থেকে তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন। এ শহরে গড়ে প্রতিজনে ২ হাজার টাকা করে খরচ করলে এটি দাঁড়ায় ৩০ কোটি টাকায়। সেখান থেকে ১০ শতাংশ লাভ হলে ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহীতে ব্যবসায়ীরা আয় করেছেন ৩ কোটি টাকা।
রাজশাহী রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি ব্যবসা হয়েছে। এটি আমাদের করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বেশ ভালো একটা ভূমিকা রেখেছে।’
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সেকেন্দার আলী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের আবাসন, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়েছে। তাই সব ধরনের ব্যবসা ভালোই হয়েছে। এটি আরও বেশি হবে যখন এখানে ভর্তির পর ক্লাস শুরু হবে। রাজশাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এগুলো থেকে ৩ কোটি টাকা লাভ হয়েছে ব্যবসায়ীদের।