একটি দাপ্তরিক চিঠিতে ‘নন মুসলিম’ শব্দ ব্যবহার করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এটিকে ‘সাম্প্রদায়িক শব্দ’ আখ্যায়িত করে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে তুলোধুনো করছেন।
আজ শুক্রবার শব্দটি প্রত্যাহার করে নতুন চিঠি ইস্যু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার ওই চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল। ‘পবিত্র ঈদুল আযহায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হচ্ছে না’ জানিয়ে ইস্যু করা ওই চিঠিতে কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল ‘নন মুসলিম’ রানিং কর্মচারী না থাকার কারণে ট্রেনটি চালানো সম্ভব হবে না।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের পক্ষে সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল আউয়াল চিঠিতে সই করেছিলেন। চিঠিতে জানানো হয়, ‘৯ জুলাই রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রংপুর-ঢাকা রুটে ও ১১ জুলাই ঢাকা-রংপুর রুটে চলাচল করবে না।’
‘নন মুসলিম’ শব্দটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আজ ওই চিঠি প্রত্যাহার করা হয়। পরের চিঠিতে ‘নন মুসলিম’ শব্দের স্থলে শুধু ‘রানিং কর্মচারী স্বল্পতা থাকায়’ লেখা হয়েছে। দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ চিঠি পোস্ট করেছেন।
এতে মহাব্যবস্থাপক লিখেছেন, ‘ফেসবুকে আমার পক্ষে স্বাক্ষরিত একটি পত্রের কিছু শব্দ আপত্তিকর মনে হওয়ায় তা নিম্নোক্তভাবে সংশোধন করা হলো। পত্রটির ভাষা কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। সর্বক্ষেত্রে আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।’
এভাবে ক্ষমা চাওয়া হলেও সমালোচনা কমেনি। শুক্রবারও মহাব্যবস্থাপকের এই পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন অনেকে। তবে প্রতি উত্তরে আবারও বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিম রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা অসীম কুমার তালুকদার।
এদিকে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করার বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে রংপুর এক্সপ্রেসের কোনো যাত্রা বাতিল করা হয়নি। এই ট্রেনের শনিবারের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, যাত্রা বাতিল করা হয়নি।’