সেচের পানি না পেয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামের দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে দুই কৃষকের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এমপি ফারুক বলেন, ‘গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরোনো। এ জন্য স্থানীয় কৃষকেরা অপারেটর পরিবর্তনের জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে বিএমডিএতে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তিনি দুটি অভিযোগপত্রেই সুপারিশ করে দিয়েছিলেন। তারপরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে গেল। তাই বিএমডিএ এর দায় এড়াতে পারে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও শাস্তি হওয়া দরকার।’
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এই সাংসদ দুপুরে নিমঘুটু গ্রামে গিয়ে প্রথমে আত্মহত্যা করা কৃষক অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে রবি মারান্ডির মা দলিনা মুর্মু ও বড়ভাই সুশীল মারান্ডির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁরা সবাই অভিযোগ করেন, গভীর নলকূপ থেকে সময়মতো পানি না দেওয়ায় রবি ও তাঁর চাচাতো ভাই অভিনাথ বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
সুশীল মারান্ডি সাংসদকে বলেন, আর কোনো কৃষক যেন পানির জন্য আত্মহত্যা না করে। তিনি এটাই চান। এ সময় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী আশ্বস্ত করেন, তিনি ক্ষুদ্র-জাতিসত্তার কৃষকদের পাশে আছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। তাই আসতে পারেননি। দেশে এসেই এখানে এসেছেন।
গত ২৩ মার্চ কৃষক অভিনাথ মারান্ডি ও তাঁর চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি বিষপান করেন। একদিনের ব্যবধানে দুজনেরই মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে বিএমডিএর গভীর নলকূপ অপারেটর ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। বিএমডিএ তাঁর নিয়োগ বাতিল করেছে।