বগুড়ার সদর উপজেলার একটি ছাত্রাবাস থেকে মিজানুর রহমান মুন্না (২১) নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রেমিকার ওপর অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে সদরের কাটনারপাড়া এলাকার রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তির ছাত্রাবাস থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত মুন্না জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের তোজাম্মেল সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়ার বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
বগুড়া ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নজরুল ইসলাম জানান, মুন্না শনিবার রাতে খাবার খেয়ে তাঁর রুমে ঘুমাতে যান। ওই রুমে তাঁর সঙ্গে আরেক শিক্ষার্থী থাকেন। তিনি (অন্যজন) ভোরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মুন্নাকে দেখতে পান। এ সময় তাঁর চিৎকারে ছাত্রাবাসে থাকা অন্যরা ওই রুমে এসে পুলিশকে খবর দেন। পরে ওই ছাত্রাবাসে গিয়ে মুন্নার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসআই নজরুল আরও জানান, কাটনারপাড়া এলাকায় একটি হোস্টেলের (ছাত্রী নিবাস) এক ছাত্রীর সঙ্গে মুন্নার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাতে মিজানুর ওই মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তাঁদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমিকার ওপর অভিমান করে রাতের কোনো সময় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন মুন্না। এরপরেও মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।