বগুড়ার শেরপুর থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া রাব্বি মিয়া (২৭) আবারও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার তারাটিয়া গ্রামে খালুশ্বশুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে শেরপুর থানার পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে রাব্বি মিয়াকে শেরপুর থানার একটি চুরির মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁকে শেরপুর থানায় আনা হলে নারী-শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের একটি কক্ষে রাখা হয়।
সকাল ৭টার দিকে রাব্বি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা জানালে ডিউটিরত কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম তাঁকে কক্ষ থেকে বের করেন। এ সময় হঠাৎ রাব্বি পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে থানার ভেতর থেকে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই শেরপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই এরশাদ হোসাইন এবং ডিউটিরত কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামকে ক্লোজড করে বগুড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানান, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কর্তব্যরত পুলিশকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাব্বি মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার দিনগত রাতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে রাব্বির পালিয়ে যাওয়া এবং দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
থানার পুলিশ আরও জানায়, গত ২৯ জুলাই শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের এক বাড়িতে চুরির ঘটনায় রাব্বিকে সন্দেহ করা হয়েছিল। এ জন্যই তাকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাব্বির বাড়ি শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর কলোনি গ্রামে। তিনি মাঝেমধ্যে শেরপুরে এসে থাকেন এবং পরে গাজীপুরে চলে যান।
ওসি এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ‘থানা হেফাজত থেকে পালানোর পরই ঢাকাসহ গাজীপুর, কালিয়াকৈর ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালায়। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে তাঁকে রোববার সকাল ৬টায় সলঙ্গা উপজেলার তারাটিয়া গ্রামে তাঁর খালুশ্বশুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।’