হোম > সারা দেশ > সিরাজগঞ্জ

পাটের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছেন উল্লাপাড়ার চাষিরা

প্রতিনিধি, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ধান, গম, ভুট্টা, আখসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সোনালি আঁশ খ্যাত পাটেরও ভালো আবাদ হয়েছে। চলতি বছর এ উপজেলায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন সোনালি আঁশে কৃষকের সুদিন ফিরেছে।

পাট ঘরে ওঠার শুরুর দিকে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে সাড়ে চার হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম এই প্রথম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাটের বেশি দাম পাওয়ায় আনন্দিত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

উল্লাপাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর ১৩০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এবার এখানে এক হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে এক হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আর আবাদ হয়েছিল এক হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। এবার উপজেলায় দেশি পাট আবাদ হয়েছে ১৭৫ হেক্টর, তোষা ৫৪০ হেক্টর, কেনাফ ৮৮০ হেক্টর, মেস্তা পাঁচ হেক্টর জমিতে। বিগত সময়ে বাজারে পাটের দাম না পাওয়ায় উপজেলায় ধীরে ধীরে কমে যায় পাটের চাষ। মূলত গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় পাট চাষে আবারও আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের মাঝে।

উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের পাট চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, `আমি দেড় যুগ ধরে পাট চাষ করে আসছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে রোগবালাই কম হওয়ার কারণে খুব একটা কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না। এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। আর এতে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ করে পাট উৎপাদন হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি বলেন, `গত বছর দাম বেশি পাওয়ায় এ বছর বেশি পরিমাণে পাট চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই অঞ্চলে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পাট চাষিদের সব রকমের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত তিন

গভীর নলকূপ খনন: বরেন্দ্রজুড়ে শত শত মৃত্যুকূপ

শিশু সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি, বিচার চাই: সাজিদের বাবা

প্রাথমিকে শতভাগ বই, মাধ্যমিকে এল অর্ধেক

সব চেষ্টা—আকুতি বিফলে, মায়ের কোলে মৃত সাজিদ

শিশু সাজিদ মারা গেছে

শিশু সাজিদকে উদ্ধার, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে

শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই, বন্ধ করা হয়েছে অক্সিজেন