পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তানভীর ইসলামের পাঁচ সমর্থককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মাসুদ আলম। এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটঘরিয়া বাজারসংলগ্ন ইশারত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের কুঠিপাড়া এলাকার জিয়াউর রহমান (৪২), পৌর এলাকার বুলবুল ফকির (৪০), রনি হোসেন (২৬), জাহিদ হোসেন (৩০), ভোলা (২২)।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়াকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থেকে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নেতা-কর্মীরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ইশারত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থক জুয়েল, শাহা আলম ও প্রিন্সসহ অন্যরা কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে পাঁচজনকে আহত করে।
পরে তাঁরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র, টেলিভিশন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘নির্বাচন-পরবর্তীতে আটঘরিয়ার পরিস্থিতি শান্তই ছিল। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে এমন একটি ঘটনা ঘটল। এ ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স, দোষিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই দায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কলটি রিসিভ করেন আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে কামালের পিএস পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পরাজিত প্রার্থীরা মার খেয়েছিল, কালকে আমাদের সমর্থকেরা মার দিয়েছে। নির্বাচনের দিন যে মারামারি হয়েছিল, কালকে তার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে।’