জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করেছি, গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি। তবে এবারের আন্দোলন শুধু ক্ষমতা বদলের জন্য নয়—এটি একটি নতুন দেশ গড়ার আন্দোলন।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে জয়পুরহাট জেলা শহরের শহীদ ডাক্তার আবুল কাশেম মাঠে ‘বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে দেশ গড়তে জুলাই পথসভা’ শীর্ষক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘দলের বা নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়, আমাদের লক্ষ্য হলো দুর্নীতিবাজ, মাফিয়া কৃষ্টির পরিবর্তন। আমরা মনে করি, এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জরুরি বিষয় বিচারব্যবস্থার সংস্কার। ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে যেভাবে এক দফা ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বছরও সেদিনই শহীদ মিনারে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির জয়পুরহাট জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমগীর।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্যসচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ওমর আলী বাবু, সদস্য ইসমাইল হোসেন হাদি প্রমুখ।
ভারতের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘অন্যদের বাংলাদেশে পুশ ইন না করে; বরং জুলাইয়ের খুনি হাসিনাকে ফেরত পাঠান।’ তিনি বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে, তারা আসলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আমরা জানি কে চাঁদাবাজি করে, কে সন্ত্রাস করে। সেসব আর এ দেশে চলতে দেওয়া হবে না।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘যে সংবিধান আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে, যে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে, সে সংবিধানের সংস্কার আবশ্যক।’