পিরোজপুরের নেছারাবাদে ইয়াবা সেবনের সময় দুই যুবক ও এক নারীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. কাইয়ুম (২৮), মোরসালিন (৩২) ও স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রাবেয়া আক্তার সাথী (৩৮)।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ শেখ বলেন, “রাবেয়া আক্তার সাথী এলাকার একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরে গ্রামের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে চারজন যুবক একটি নিরিবিলি স্থানে বসে ইয়াবা সেবন করছিল। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা ধাওয়া দিয়ে কাইয়ুম ও মোরসালিনকে ধরে ফেলি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বিশ পিস ইয়াবা কিনেছে রাবেয়ার কাছ থেকে। পরে আমরা রাবেয়াকেও ধরে নিয়ে আসি এবং কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিই।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “রাবেয়া একাধিকবার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এবং জেল খেটেছে। এরপরও আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি।”
স্থানীয় মো. সাজিদুল হক বলেন, “রাবেয়া এলাকায় ‘ইয়াবা সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর কারণে পুরো গ্রামের যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনকে হাতে–নাতে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যেন রাবেয়াকে দ্রুত আইনের আওতায় আনে।”
তবে নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কারও কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়া যায়নি। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে রাবেয়া আক্তার সাথীকে আগেও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় তিনি জেল খেটেছেন।”