জীবিত থেকেও সরকারি নথিতে মৃত ছিলেন তাঁরা। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এবং নির্বাচন অফিসে ধরনা দিয়ে অবশেষে মৃত থেকে জীবিত হলেন কাউখালীর ৯ জন। এ ছাড়া আরও তিনজন অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক নির্বাচন কর্মকর্তা। সরকারি নথিতে বেঁচে থেকেও এ রকম মৃতের তালিকায় নাম রয়েছে উপজেলার অনেক মানুষের।
নথিতে মৃত থেকে জীবিতরা হলেন উপজেলার আশোয়া গ্রামের আনোয়ারা বেগম, জিবগাসাতুরিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী খান, বিজয়নগর গ্রামের মোহাম্মদ মানজুরুল ইসলাম, একই গ্রামের হ্যাপী বেগম, কেউন্দিয়া গ্রামের ফারজানা আক্তার, একই গ্রামের ফরিদা বেগম ও মনজুরা, লাংগুলি গ্রামের তাহেরা বেগম, সুবিদপুর গ্রামের কনিকা রানী বিশ্বাস। বাকিরাও আবেদন করেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটার হতে পারবেন।
জানা যায়, জীবিত বেশির ভাগ মানুষের নাম নেই ভোটার তালিকায়। ফলে চাইলেও তাঁরা কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। বঞ্চিত হয়েছেন সব নাগরিক সুবিধা থেকেও। এমনকি জমি ক্রয়-বিক্রয়ের মতো কাজ থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। ২০০৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর থেকে তাঁদের এই বিপত্তি শুরু হয়। স্মার্টকার্ড আনতে গিয়ে জানতে পারেন, ইউনিয়ন পরিষদের মৃতের তালিকায় তাঁদের নাম নিবন্ধিত হয়েছে, যার কারণে তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, তথ্য সংগ্রহকারীদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে না পারা এবং একই নামে এলাকার কেউ মৃত্যুবরণের পর ইউনিয়ন পরিষদের সঠিকভাবে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে না পারার কারণে এ সব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্তমানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এজাতীয় অভিযোগ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে। নতুন করে আর কাউকে হয়রানি হতে হবে না।