পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিনজনের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (২১ মে) বিকেলে উপজেলার ১ নম্বর মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গার চর ও মালিখালির চরে মধুমতী ও তালেরশ্বর নদীতে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফজলে রাব্বী এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—কাউখালী উপজেলার বাঁশুরিয়া গ্রামের মো. হোসাইন ফরাজী (৪০), কাউখালী উপজেলার উজিয়ালখান গ্রামের মো. সুমন শেখ (৩৯) ও নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামের মো. জাবের শেখ (২৭)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মধুমতী ও তালেশ্বর নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিপণনের অভিযোগে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় তিনটি মামলায় তিনজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইউএনও ফজলে রাব্বী বলেন, ‘যাঁরা বালুমহাল ইজারা নেন, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। আমাদের নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ছিল ২৪.২১ একর। কিন্তু সীমানার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার অপরাধে আমরা এই তিনজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছি।’ নদীর ভূপ্রাকৃতিক পরিবেশ, মৎস্য ও জলজ প্রাণী তথা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে নাজিরপুর উপজেলার আওতাভুক্ত মধুমতী ও তালেশ্বর নদীতে নিয়মিত অভিযান ও মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।