পাবনায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশের গাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যৌথবাহিনীর অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা আজ সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে আজ সকালে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৬৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে আছরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুজানগর পৌর এলাকার মথুরাপুর হাইস্কুলের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। পরে তাঁর অনুসারী ও সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা করে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে দাবি থানা–পুলিশের।
সুজানগর থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় রোববার রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করার পর মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলা এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আলাদা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। রোববার রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার প্রধান সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
সুজানগর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাব গত জুলাই–আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি।