চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ‘বাষ্প নির্গমন’ পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) থেকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ধারে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরে এই ‘বাষ্প নির্গমন’ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলবে চার থেকে পাঁচ দিন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট (গণমাধ্যম) এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক তথ্য কর্মকর্তা সৈকত আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা পরিচালনা করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, উচ্চ চাপের বাষ্প নির্গত হওয়ার কারণে প্রকল্প এলাকা থেকে জেট ইঞ্জিনের মতো বিকট শব্দ সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের শব্দে স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাশিয়ান সাধারণ ঠিকাদার (জেএসসি-এএসই) প্রকল্প এলাকায় মেইন স্টিম পাইপলাইন ও স্টিম জেনারেটরের নিরাপত্তা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে পরিকল্পিত এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করবে। পরীক্ষার সময় নির্দিষ্ট বাল্বের মাধ্যমে উচ্চ চাপের বাষ্প বায়ুমণ্ডলে নিঃসৃত হবে, ফলে কিছু সময়ের জন্য তীব্র শব্দ শোনা যেতে পারে।
কর্তৃপক্ষ দাবি করে, এই শব্দ সম্পূর্ণ পূর্বনির্ধারিত, স্বাভাবিক ও নিরাপদ। এতে জনসাধারণের কোনো ধরনের ঝুঁকি বা ক্ষতির আশঙ্কা নেই। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থায়িত্ব, মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাপী এ ধরনের পরীক্ষা নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করা হয়।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক তথ্য কর্মকর্তা সৈকত আহমেদ মোবাইল ফোনে জানান, দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দ্রুত চালুর জন্য ধারাবাহিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসেবে বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা চলছে। এর প্রায় তিন মাস আগে প্রকল্পে ‘হট অ্যান্ড কুল’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।