নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপির ৩৯ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে নাশকতার মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভুঁইয়া, সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন প্রমুখ। এঁদের অধিকাংশই জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত ৩০ সেপ্টেম্বরের একটি নাশকতার ঘটনায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।’
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের রঘুনাথপুর আজিমুসসান মাদ্রাসামুখী সড়ক বিএনপির নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র মিছিল করে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। এ সময় তাঁরা মশাল, লোহার রড, হকিস্টিক, চাপাতি, ককটেল হাতে নিয়ে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। পরে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান। এতে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা এমন কোনো কর্মসূচি পালন করেননি। আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার জনই মূলত এই মামলা করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও আমাদের বিরুদ্ধে এমন গায়েবি মামলা দায়ের হয়েছে। যেখানে প্রবাসী, মৃত মানুষেরাও আসামি হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুনরায় ভুতুড়ে মামলা দেওয়া আরম্ভ করেছে।’