উত্তরের জনপদের জেলা নওগাঁয় সকালের ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। মধ্যরাত থেকেই কুয়াশা ঝরছে। জেলায় দিনে গরম থাকলেও রাতে ও সকালে হালকা শীত অনুভব হচ্ছে।
জেলার বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ সোমবার ভোর ৬টায় নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনে রোদ-গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই চারদিকে কুয়াশার দেখা দিয়েছে। এটাকে শীতের আগমনী বার্তা বলা যেতে পারে।’
স্থানীয়রা জানান, গত দুদিন ধরে রাতভর ঝিরঝিরে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে কুয়াশার স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ থাকছে না। সূর্য উঠলেই কুয়াশা কেটে যাচ্ছে।
আজ সোমবার সকালে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কুয়াশার কারণে প্রকৃতিতে ভিন্ন আমেজ দেখা যায়। দীর্ঘদিন টানা গরমের পর কুয়াশামাখা পরিবেশে পেয়ে উচ্ছ্বসিত জেলার মানুষ। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সড়কে কিছু যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়েও চলতে দেখা গেছে।
সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকার আব্দুল আওয়াল বলেন, হঠাৎ করেই আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ে গেছে। নামাজ শেষে হাঁটতে বের হই। প্রকৃতিতে নতুন কুয়াশা দেখে ভালোই লেগেছে। এই কুয়াশায় জানান দিচ্ছে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে।
নওগাঁ পাইকারি সবজি বাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন বলেন, কুয়াশা বেশি হলেও খুব বেশি শীত পড়েনি। তবে অর্ধেক রাত পর্যন্ত ঘরে ফ্যান চালাতে হয়েছে। আর বেলা ১১টার পর থেকে গরম লাগছে।
জেলার শহরের মুক্তির মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় শীত আগেভাগেই নামে। সকালের কুয়াশা দেখে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। কারণ আমরা যারা দারিদ্র্য পরিবারের রয়েছি, শীতের সময়টিতে চরম বিপাকে পড়ে যাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘শীতে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারসহ সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’