আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টায় ৩ ঘণ্টা ঘুমান। বাকি ২১ ঘণ্টা তিনি ঘুমান না। রাত জেগে কাজ করেন। সারা দিন বসে বসে দেশের অর্থনীতির কথা ভাবেন। সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশে আনন্দ করার জন্য যান না। সম্প্রতি বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে সহযোগিতা আনার জন্য। অথচ তাঁর সফর নিয়ে ফখরুল যা ইচ্ছে তাই বলেন। মিথ্যাচার তাঁদের একমাত্র সম্পদ। মিথ্যাকে পুঁজি করে তাঁরা আজকে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। তাঁকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে চান।’
আজ রোববার দুপুরে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল জলিলের স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আব্দুল জলিলের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ এই আয়োজন করে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দেখতে দেখতে ১৪ বছর চলে গেছে। আন্দোলন হয় না। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। এর মানে জনগণ না থাকলে আন্দোলন হয় না। জনগণ নাই, বিএনপির আন্দোলন নাই। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। ৫২ দফা ভুয়া, ২৭ দফা ভুয়া। বিএনপির ৫৪ দল ভুয়া।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের আজকে বড় জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল। মেট্রোরেল চালু হলো। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে। কিছুদিন লোডশেডিং হয়তো থাকবে। সেটাও ঠিক হয়ে যাবে। বিএনপির অন্তর জ্বালা কমবে না। নালিশ করতেই থাকবে।’
জ্বালানি সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিশ্ব পরিস্থিতি দায়ী বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বিশ্বে আজকে নতুন নতুন সংঘাত ও যুদ্ধ পৃথিবীকে স্থিতিহীন করে তুলেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এটা শুধু আমাদের নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা। বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধ করে। একে-অন্যকে নিষেধাজ্ঞা দেয়।’
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি জানুয়ারিতে নির্বাচন করতে পারেনি। ফেব্রুয়ারিতে পারেনি। মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে পারিনি। জুনেও পারবে না। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, নভেম্বরেও পারবে না। ডিসেম্বরে তো নির্বাচন। তখন হবে ফাইনাল খেলা। খেলা হবে।’
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, ছলিম উদ্দিন তরফদার, নিজাম উদ্দিন জলিল, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। স্মরণসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
আজ দুপুরে স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আব্দুল জলিলের কবর জিয়ারত করেন সেতুমন্ত্রী। এরপর তিনি দলীয় নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করে স্মরণসভায় যোগ দেন।