ময়মনসিংহ নগরীতে নিজের ঘর থেকে এক চিকিৎসকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত চিকিৎসক হলেন ময়মনসিংহ নগরীর পুরোহিতপাড়া এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে সাদমান রাফি রনি (৪০)। তিনি কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ। তিনি বলেন, ‘নিহতের অণ্ডকোষের কাছে ইনজেকশন নেওয়ার ছিদ্র পাওয়া গেছে। নেশাজাতীয় ইনজেকশনও পাওয়া গেছে। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা হতে পারে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ জানায়, নগরীর পুরোহিতপাড়া এলাকার বাসায় নিজের ঘরে সাদমানের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান বৃদ্ধা মা রেহেনা বেগম। বাড়িতে মা ও সাদমান ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে। কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারেনি। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও সাদমানের কক্ষের মেঝে রক্তে ভেজা ছিল।
সুরতহাল শেষে পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের অণ্ডকোষের কাছে একটি ছোট ছিদ্র পাওয়া গেছে। সেখান দিয়ে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হতে পারে ধারণা করলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পুলিশের দাবি, নিহতের মরদেহের পাশ থেকে নেশাজাতীয় ইনজেকশন পাওয়া গেছে। নেশার জন্য ইনজেকশন নিতে গিয়ে এমন মৃত্যু হতে পারে। আজ বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।