রাজধানীর মালিবাগ থেকে অপহৃত পাঠাও চালক কামরুল হাসানকে (৩২) ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৪। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে তাঁকে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়। এর আগে ওই দিন বেলা ৩টার দিকে মালিবাগ এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হন কামরুল।
আজ রোববার র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক নয়মুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
কামরুল হাসান বগুড়ার শিবগঞ্জের ধামাহার শোলাগাড়ী গ্রামের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় পাঁচ বছর ধরে স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। অ্যাপভিত্তিক রাইডশেয়ারিং করে নিজের সংসার চালান তিনি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার শিকদারকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ খাঁর ছেলে মো. মিরাজ খাঁ (৫২), ঢাকার মালিবাগ রেলগেট এলাকার মো. সেলিম কাজীর ছেলে মো. আমিন কাজী (২২), ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাহমুদনগর গ্রামের জালাল উদ্দিন সরদারের ছেলে মো. রিফাত হাসান ওরফে মিন্টু (২৯), একই গ্রামের মো. হাতেম আলীর ছেলে মামুন অর রশিদ (২৪), পাঠানতুলা গ্রামের মো. নবিজুল ইসলামের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম (২৯), পশ্চিম দাপুনিয়া গ্রামের মো. চুন্নু মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (৩৫) ও তাঁতকুড়া গ্রামের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. মোতালিব (৩৬)।
অপহরণ চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গাড়ি থেকে জাতীয় সংসদের মনোগ্রামসংবলিত স্টিকার, গাজীপুর পুলিশ ও ডিবি, প্রেস ও চ্যানেল-১৬, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বিভিন্ন কাগজ উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মারধর শুরু করে। এলাকার এক ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়ে টাকা চাইলে পরিবারের সদস্যরা র্যাবকে জানায়। পরে র্যাব আমাকে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে র্যাব অধিনায়ক নয়মুল হাসান বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করে টার্গেট করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করত। সে জন্য কখনো গাড়ির সামনে সংসদ সদস্য লেখা লোগো, কখনো সাংবাদিক, পুলিশ বা অন্য পরিচয় লেখা স্টিকার ব্যবহার করত। অপহরণকারী চক্রটিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।