নান্দাইলের খারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আবু সাঈদ (৫৫) হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ রোববার ভোরে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার জোয়ারিয়া গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের মো. আব্দুল সাত্তার (৭০) ও তাঁর ছেলে আব্দুল মমিন (১৯)।
মামলায় জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাবেক ইউপি সদস্য আবু সাঈদ খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম চৌরাস্তা বাজারে ওষুধ কিনতে যান। এ সময় বাজারে চা পান করার জন্য বসলে মো. আব্দুল সাত্তারের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। আবু সাঈদ রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আব্দুল সাত্তার তাঁর পানের বরজের পাশে ৪-৫ জন লোকসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পানের বরজের পাশে মরদেহ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। আবু সাঈদ বাড়িতে না ফেরায় তাঁর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকেন। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেয়। এ সময় আব্দুল সাত্তারের পানের বরজের পাশে মোবাইল বাজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মাটিচাপা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে নান্দাইল মডেল থানায় খবর দেন তাঁর স্বজনেরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর থেকে আব্দুল সাত্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে নিহতের বড় ছেলে আনিছ মিয়া বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের নান্দাইল মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় র্যাব-১৪।