ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপির ইফতার আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
আজ বুধবার উপজেলার নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের মাঠে আজ ইফতার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। অপরদিকে একই সময়ে ওই স্থানে ইফতারের ঘোষণা দেন বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা।
পাল্টাপাল্টি ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় দুটি পক্ষ অবস্থান নেয় এবং মারমুখী অবস্থানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে আগে থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মুজাহিদুল ইসলাম সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের মাঠে অবস্থান নেন।
বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার একপর্যায়ে বিএনপির পদবঞ্চিত ও বর্তমান কমিটির নেতা–কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল ও আটটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান রতন, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ফেরদৌস, যুবদল নেতা আবু হুরায়রাসহ ১০-১২ ব্যক্তি আহত হন।
এ ছাড়া লাদেন মিয়া নামে এক যুবদল নেতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মুখে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ওই সময় ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল, অপরদিকে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীদের একই স্থানে ইফতার করার আয়োজনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা ১৪৪ ধারা জারি করেন। এখন পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।
ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।