ময়মনসিংহে এক নারী মৎস্য খামারির পুকুরে বিষ প্রয়োগে দেড় লাখ মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পাড়াইল মোড়ে হ্যাপী মৎস্য খামারের তিনটি পুকুরে মাছ মারা গেছে। এতে করে পথে বসেছেন নারী মৎস্য খামারি হ্যাপী কাউসার।
আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মৎস্য কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাত থেকে তিনটি পুকুরে পাঙাশ ও দেশীয় মাছ মরে ভাসতে থাকে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে নারী মৎস্য খামারির দ্বন্দ্ব রয়েছে। তিনি কিছুদিন আগে পুকুর থেকে মাছ চুরি করলে থানায় অভিযোগ করা হয়, যার কারণে তিনি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে থাকতে পারেন। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন, কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, কী কারণে মাছ মারা গেছে পরীক্ষার পর তা বলা যাবে।
মৎস্য খামারি হ্যাপি কাউসার বলেন, ‘বিষ প্রয়োগে ৪০ হাজার পাঙাশ মাছ মরে ভেসে উঠেছে। প্রতিটা মাছ এক কেজির মতো ওজন ছিল। এ ছাড়া ১ লাখের ওপরে দেশি মাছ মারা গেছে। ১ কোটি টাকার ওপরে আমার ক্ষতি হয়ে গেল। মাহবুবু ছাড়া আমাদের অন্য কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। গত ১০ সেপ্টেম্বর সে পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নেয়। সহায়-সম্পত্তি বিক্রি ও লোন তুলে তিনটি পুকুরে মাছ ছেড়েছি। আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার এত বড় ক্ষতি কেন করল? আমি এর বিচার চাই।’
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন বলেন, তিনটি পুকুরেই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা গেছে। তবে পরীক্ষা করা ছাড়া কারণ বলা যাবে না। বিষপ্রয়োগে মাছগুলো মারা হলে সেগুলো না খাওয়াই ভালো।
কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পুকুরগুলোতে সাদা হয়ে মাছ মরে রয়েছে। ধারণা করছি, বিষপ্রয়োগে সেগুলো মারা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’